দড়ি নিয়ে কিছু কথা
দড়ি প্রধানত তিন প্রকার।
১। হসার লেড রোপ (Hawser Laid Rope) ঃ এই দড়ি তিনগুন ওয়ালা যা বাম দিক হতে ডান দিকে পেঁচিয়ে তৈরি করা হয়
২। শ্রাউড লেড রোপ (Shroud Laid Rope) ঃ এই দড়ি পাঁচগুন ওয়ালা এবং বাম দিক হতে ডান দিকে পেঁচিয়ে তৈরি করা হয়। এই দড়ি তৈরি করার সময় একটি গুন মাঝখানে থাকে ও অন্য চারটি ঐ গুনের ওপর দিয়ে বাম দিক হতে ডান দিকে প্যাঁচানো থাকে।
৩। ক্যাবল লেড রোপ (Cable Laid Rope) ঃ এই দড়ি তিন গুনওয়ালা এবং তিনটি হসার লেইড রোপ দিয়ে তৈরি।
একটি দড়ির দু’টি অংশ থাকে।
১. চলমান প্রান্তঃ যে প্রান্ত দিয়ে কাজ করা হয় তাকে চলমান প্রান্ত (Running Part) বলে এবং
২. স্থির প্রান্তঃ যে প্রান্ত ব্যবহার করা হয় না তাকে স্থির প্রান্ত (Standing Part) বলে।
লুপঃ দড়ির এক প্রান্তকে মূল দড়ির ওপর রাখলে তা হবে লুপ। লুপ তৈরির সময় দড়ির চলমান অংশ দড়ির স্থির অংশের উপর অথবা নিচে থাকতে পারে। অনেক গেরো আছে যা বাঁধার আগে লুপ তৈরি করে লুপের উপর গেরো বাঁধতে হয়।
বাইটঃ দড়ির কোথাও যদি অর্ধবৃত্ত অথবা সোজা চলতে চলতে কোথাও বাঁকা হয়ে যায় অথবা যদি দড়ির এক প্রান্ত কে দড়ির অপর অংশের পাশাপাশি রেখে, দড়ির এই প্রান্তে যদি লুপে মত তৈরি করা হয় তখন তাকে বাইট বলে ।
টার্ণঃ কোন দড়ি দিয়ে কোন খুঁটিতে যদি একটি প্যাঁচ দেয়া হয় । তখন তাকে টার্ন বলে । যেমন- ওয়ান টার্ন এন্ড টু হাফ হিচেচ ।
রাউন্ডঃ কোন দড়ি দিয়ে যদি কোন খুঁটিতে একটি পূর্ণ প্যাঁচ দেয়া হয় তখন তাকে রাউন্ড বলে।
রাউন্ড দেয়ার সময় দড়ির চলমান অংশ এবং স্থির অংশ একত্রে পরস্পরের সাথে মিলিত হবে। কিন্তু টার্ন দেয়ার সময় দড়ির চলমান অংশ এবং স্থির অংশ পরস্পর একত্রে মিলিত হবে না।
রাউন্ড টার্নঃ কোন খুটিতে যদি দড়ির চলমান প্রান্ত দিয়ে একবার রাউন্ড এবং একবার টার্ন দেয়া হয় তখন তাকে রাউন্ড টার্ন বলে । যেমন - রাউন্ড টার্ন এন্ড টু হাফ হিচেস।
দড়ির যত্নঃ পাইওনিয়ারিং বা অন্য কোন কাজে দড়ি ব্যবহারের পরে ভাল ভাবে পরিষ্কার করে রাখতে হয়। কোন দড়িটি কতটুকু লম্বা তা একটি কার্ডে লিখে ঐ দড়িতে যদি বেঁধে রাখা হয় তবে প্রয়োজনের সময় নির্দিষ্ট মাপের দড়িটি খুঁজে পাওয়া সহজ হয়।
হুইপিংঃ মুখ খুলে গিয়ে তন্তু ছড়িয়ে পড়ে দড়ির যাতে কাজের উপযোগীতা না হারায় বা নষ্ট না হয় তার জন্য দড়ির মুখকে কোন সরু সুতা দ্বারা বেঁধে রাখার নিয়মকে হুইপিং বলে।
0 Comments